অনলাইন ডেস্ক :
গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানো এবং ৪ আগস্ট একজনকে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে ১২তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ আজ।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল–২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করবেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে ১১তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে সপ্তমদিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ঠিক করেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালে ওইদিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ ও সাইমুম রেজা তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার ও সহিদুল ইসলাম।
এ মামলায় মোট আসামি ১৬ জন। তাদের মধ্যে আট আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আট আসামি পলাতক। আসামিদের মধ্যে আশুলিয়া থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ আবজালুল হক ট্রাইব্যুনালে দোষ স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হয়ে পূর্ণাঙ্গ সত্য উন্মোচন করতে চান এবং ক্ষমা চান।
গ্রেফতার অন্য সাত আসামি হলেন- সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মালেক, আরাফাত উদ্দীন ও কামরুল হাসান, সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার।
আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির পর প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর লাশগুলো পুলিশভ্যানে রেখে আগুন ধরিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব লাশ আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজনকে জীবিত থাকা অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। এর আগের দিন ৪ আগস্ট একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মোট সাতজনকে হত্যা ও ছয়জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে।
গত ২ জুলাই এ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেন প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগের সঙ্গে অন্যান্য তথ্যসূত্র হিসেবে ৩১৩ পৃষ্ঠা, সাক্ষী ৬২ জন, দালিলিক প্রমাণাদি ১৬৮ পৃষ্ঠা ও দুটি পেনড্রাইভ যুক্ত করা হয়েছে।