নিউ ইয়র্কে এন সিপির ওপর হামলাকারী আ.লীগের ১জন গ্রেপ্তার - Meghna News 24bd

সর্বশেষ


Wednesday, September 24, 2025

নিউ ইয়র্কে এন সিপির ওপর হামলাকারী আ.লীগের ১জন গ্রেপ্তার

 

নিউ ইয়র্কে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর সোমবার ডিম নিক্ষেপ করে আওয়ামীপন্থিরা (বাঁয়ে), হামলার দায়ে আওয়ামী ক্যাডার মিজান চৌধুরীকে আটক করে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামীপন্থিরা শুয়ে পড়ে সড়কে অচলাবস্থার সৃষ্টি করে। ছবি: সংগৃহীত

এম আবুল কালাম আজাদ, নিউ ইয়র্ক থেকে :

যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সফরসঙ্গী রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত দলটির নেতাকর্মীরা ঘোষণা দিয়ে স্থানীয় সময় সোমবার বিকালে নিউ ইয়র্ক জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে ন্যক্কাজনক হামলা চালায়।


সফরসঙ্গীদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে হামলাটি হয় বলে জানা গেছে।


জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বিশ্বের ১৯৩ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে নিউ ইয়র্কে এসেছেন। এখানেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আসল চেহারা প্রত্যক্ষ করল বিশ্ববাসী। হামলাকারীরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর ডিম ছুড়ে মারে এবং অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে। হামলাকারীরা প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও তার গাড়ি আটকে দেয়।


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও সফরসঙ্গী হিসেবে পাঁচজন রাজনীতিক আছেন। তারা হলেন বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী ক্যাডারদের সঙ্গে টেলিফোনে কয়েক দফা কথা বলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। শেখ হাসিনার নির্দেশের কথা সমবেত কর্মীদেরও শোনানো হয়। এছাড়া তারা কিছু সময় পরপর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জয়ের সঙ্গে কথা বলে নির্দেশনা নেন। এক হামলাকারীকে আটকও করেছিল নিউ ইয়র্ক পুলিশ।


আওয়ামী লীগের এ হামলাকারীদের ‘বিশৃঙ্খলাকারী সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে তাদের দমনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতারা। হামলার শিকার এনসিপির সদস্য সচিব আখতার জানান, শেখ হাসিনার গুলি আমাদের দমাতে পারেনি, সন্ত্রাস করে তার বিচার ঠেকানো যাবে না।


যেভাবে হামলা চালায় আওয়ামী ক্যাডাররা


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতাদের এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফরকে ঘিরে নিউ ইয়র্কে কয়েকদিন ধরেই মহড়া দেয় আওয়ামী ক্যাডাররা। তারা প্রধান উপদেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরোধের ঘোষণাও দেয়। এর অংশ হিসেবে আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্টে জড়ো হয়। বেলা ৩টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীরা বিমান থেকে নামার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিশেষ প্রটোকলে প্রধান উপদেষ্টা বের হয়ে তার সফরসঙ্গী রাজনৈতিক নেতাদের জন্য অপেক্ষা করেন। তিনি সবাইকে নিয়ে বিমানবন্দর থেকে একসঙ্গে বের হতে চান বলেও জানিয়ে দেন।


প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী এক সরকারি কর্মকর্তা আমার দেশকে জানান, এটা সবারই জানা, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ স্বাধীন। এখানে রাজনৈতিক নেতাদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বেশ সময় লেগে যায়। ততক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রটোকল প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বের হয়ে যায়।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. তাহের বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে গেটের বাইরে আসার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তার দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবারসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে তাকে নিয়ে যান।


বিমানবন্দরে ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তবে তারা মির্জা ফখরুলকে নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করেন। সে অর্থে বিমানবন্দরে এনসিপির তেমন কোনো নেতাকর্মী চোখে পড়েনি। কিন্তু বিমানবন্দরের গেটে আগে থেকে অবস্থান করছিল আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা। বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার সময় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল, এনসিপির আখতার ও ডা. তাসনিম জারাকে একা পেয়ে হামলা চালায়।


এ সময় পরপর দুটি ডিম ছোড়া হয়। এনসিপি নেতা আখতারের পিঠে ডিমগুলো লাগে। তবে তিন রাজনীতিকই হামলার ঘটনায় কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে সাহসের সঙ্গে বিমানবন্দরের লবি দিয়ে নিজেদের গাড়িতে উঠে যান। সবাই গাড়িতে ওঠার পর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে আওয়ামী ক্যাডাররা। এ সময় তারা ‘জয় বাংলা’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়। নিউ ইয়র্ক পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তারা সেখানে বিক্ষোভ করে।


নিউ ইয়র্কে এনসিপি নেতা আখতারের হুঁশিয়ারি


বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে নির্ধারিত হোটেলের সামনে এনসিপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন আখতার হোসেন। তিনি আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ার করে বলেন, আমরা সেই প্রজন্ম, যারা হাসিনার গুলির সামনে দাঁড়াতে ভয় পাইনি। অতএব কারো ছোড়া ডিমে আমাদের কিছু যায় আসে না। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আবার প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। আওয়ামী লীগ জন্মগতভাবে ও প্রকৃতিগতভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন। 

বিমানবন্দরের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আখতার বলেন, এয়ারপোর্টে আওয়ামী লীগ হুংকার দিয়ে আসছিল, অশ্রাব্য গালিগালাজ করছিল, বিশেষ করে ডা. তাসনিম জারাকে উদ্দেশ করে। এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র। বাংলাদেশের যারা স্বাধীনতাকামী মানুষ, জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি, তাদের ওপর এভাবে হামলে পড়বে এতে আমরা অবাক হইনি। বরং আমরা মনে করি, এই এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার জন্য যে প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ছিল, সেটা সামান্য অগ্রসর হয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী যারা পালিয়ে এসেছে, তারা বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস করছে। দেশে এবং দেশের বাইরে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর যারা সন্ত্রাস করছে, তাদের ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।


যা বললেন মির্জা ফখরুল


নিউ ইয়র্কে এনসিপির সদস্য সচিব আখতারকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়ার ঘটনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি তার পোস্টে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে লিখেছেন, নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে যা ঘটেছে, তা আবার প্রমাণ করল আওয়ামী লীগ তাদের অন্যায়ের জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনা করে না। আওয়ামী লীগ আজ পর্যন্ত যা করেছে, সবকিছুর বিচার আইনের মাধ্যমে হবে। দল ও দেশের স্বার্থে ধৈর্য ধরুন।


যুবলীগের মিজানুর রহমান গ্রেপ্তার


নিউ ইয়র্কে জেএফকে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলাকারী এক আওয়ামী ক্যাডারকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। তার নাম মিজানুর রহমান। তিনি যুবলীগ ক্যাডার। স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টার দিকে যুবলীগের এই নেতাকে পুলিশ জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মীকে ছুরি দিয়ে মারার অভিযোগ আছে।

জানা গেছে, মিজানের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায়। তিনি সিলেট জেলা যুবলীগের সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে আমেরিকায় থাকেন। তার ভাইও নিউ ইয়র্কে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।

বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ জানান, যুবলীগ ক্যাডার মিজান নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে হামলা ও ভাঙচুর মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি।


গিয়াস আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তাদের পলাতক নেত্রীর নির্দেশে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে এ জঘন্যতম বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। আমরা এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে আটক করার দাবি জানিয়েছিলাম।

আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপের কথা ফেসবুকে স্বীকার করেছেন মিজান নিজেই। এ ঘটনার একটি ভিডিও জুড়ে দিয়ে ফেসবুকে মিজান লেখেন ‘খাইয়া দিছি টেরোরিস্ট আকতারকে।’

বিএনপির অপর এক নেতা মো. জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশ থেকে লাখো কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে এনেছে। এসব টাকা দিয়ে তারা এখন সন্ত্রাস করছে। বিমানবন্দরে তারা যেটা করেছে, তাতে প্রমাণ হলো তাদের চরিত্র বদলায়নি। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস মোকাবিলায় সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।


নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের শাস্তি চায় এনসিপি

যুক্তরাষ্ট্রে এনসিপির সদস্য সচিব আখতারসহ অন্যদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তরুণদের দলটি। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিউ ইয়র্কের বিমানবন্দরে আখতারকে হেনস্তা করা ও তার ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এ দাবি করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের দেশ–বিদেশে হামলার টার্গেটে (নিশানা) পরিণত করেছে। গোপালগঞ্জে জুলাই পদযাত্রায় তাদের হত্যার চেষ্টা, উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর বিদেশে হামলার চেষ্টা এবং সর্বশেষ নিউ ইয়র্কের এয়ারপোর্টের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী তৎপরতারই ধারাবাহিকতা।

সরকার রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রশাসনের ভেতরের একটি অংশের মদতেই এসব হামলা হচ্ছে। সরকারের সর্বস্তরে ফ্যাসিবাদের যে দোসররা এখনো রয়ে গেছে, তাদের অপসারণ করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে নিউ ইয়র্কের কনসাল জেনারেলের পদত্যাগসহ কয়েকটি দাবি জানানো হয়।


জামায়াতের নায়েবে আমির তাহের বলেছেন


জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, নিউ ইয়র্কে এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর যারা ডিম মেরেছে, তারা দেশকে অসম্মানিত করেছে। এতে তারা নিজেরাই অপমানিত হয়েছেন। এ ধরনের নেগেটিভ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত। সোমবার নিউ ইয়র্কের ম‍্যানহাটনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ডা. তাহের বলেন, আমি খুব বিব্রতবোধ বা নেগেটিভ বোধ করিনি এজন্য যে, বাংলাদেশের এই কালচারটা আগে থেকেই হয়ে আসছিল। যখন কোনো সরকারপ্রধান বিদেশে সফর করেন, তখন বিরোধীরা স্লোগান দেন। আমেরিকা গণতান্ত্রিক দেশ। ১০-২০ জন স্লোগান দিতে পারেন, ডিম মারতে পারেন; এটি একটি খারাপ আচরণ নিঃসন্দেহে। তবে হতাশ বা খুব উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো ঘটনা নয়। কারণ, ১০ জন এসেও একটা ডিম মেরে দিতে পারেন, বাংলাদেশের জন্য এটা লজ্জাজনক। এই সংস্কৃতিটা খুব নেগেটিভ, এর অবসান হওয়া উচিত।


সুরক্ষা দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন সাবেক শিবির নেতা মারুফ


আওয়ামী ক্যাডারদের হামলা থেকে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. তাহেরকে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা দেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত দলটির নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, এনসিপি সদস্য সচিব আখতার ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাকে সুরক্ষা দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা মারুফ রহমান।

জানা গেছে, হামলার সময় আওয়ামী ক্যাডারদের বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে মির্জা ফখরুলকে নিরাপদে গাড়িতে তুলে দেন এক বাংলাদেশি যুবক। পরে জানা যায় তিনি সিলেট মহানগরীর বাসিন্দা মারুফ রহমান। তার বাড়ি নগরীর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) এলাকায়। তিনি দেশে থাকাকালীন সময়ে সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকা শাখার সভাপতি ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক ও সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘বিএনপির উচিত সাহসী মারুফ রহমানকে বীরোচিত সংবর্ধনা দেওয়া’। এছাড়া ফেসবুকজুড়ে শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার এই সাহসী ভূমিকার জন্য নানাভাবে প্রশংসা করেছেন।


নিউইয়র্কে হামলার ঘটনায় সরকারের গভীর ‘দুঃখ প্রকাশ’


যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় এনসিপির সদস্য সচিব আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় ‘গভীর দুঃখ’প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্কে ঘটে যাওয়া একটি নাজুক ঘটনার ওপর গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে সরকার। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং এনসিপি নেতা আখতার হোসেন ও ডা. তাসনিম জারা রাজনৈতিকভাবে পরিচালিত হামলার শিকার হন ।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই হামলা সম্ভাব্যভাবে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সমর্থক ও সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টা ও সব আনুষ্ঠানিক দলের সদস্যদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার মার্কিন ফেডারেল ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, যাতে বিদেশে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা যায়।

অন্তর্বর্তী সরকার জোর দিয়ে বলেছে, গণতান্ত্রিক নীতি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা তাদের অটুট অঙ্গীকার। বাংলাদেশ বা দেশের বাইরে রাজনৈতিক সহিংসতা ও হয়রানিকে কোনোভাবেই ক্ষমা করা হবে না এবং এর জন্য যথাযথ আইনি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages