অনলাইন ডেস্ক : প্রাডো গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন হিরো আলম। ছুটছেন এক প্রেক্ষাগৃহ থেকে আরেক প্রেক্ষাগৃহে। তাঁকে ঘিরে প্রেক্ষাগৃহের বাইরে আবার উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ করা গেলেও প্রেক্ষাগৃহের ভেতরে আসন ফাঁকা। নেই কোনো দর্শক। হাতে গোনা কয়েকজন। বগুড়ার ডিশ ব্যবসায়ী ও বিনোদন অঙ্গনের আলোচিত চরিত্র হিরো আলম প্রযোজিত ও অভিনীত সিনেমা ‘সাহসী হিরো আলম’ মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহের এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে। হতাশ হয়েছে প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ।করোনার এই লম্বা সময়ের বিরতির পর এমন একটি ছবির মুক্তির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি রাজধানীর আনন্দ ও ছন্দ প্রেক্ষাগৃহের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামসুউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘২১১ দিন পর সিনেমা হল খুলে এমন ছবি যদি দর্শক দেখেন, তাহলে দ্বিতীয়বার তাঁরা আর আসবেন না। এটা কেমন ছবি, কেন ছবি? তা–ও বুঝলাম না। সেন্সর বোর্ডই–বা কীভাবে এটিকে সিনেমা হিসেবে মুক্তি দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে। এর চেয়ে যদি আগে মুক্তি পাওয়া সিনেমাও মুক্তি দিতাম, তাহলে ভালো হতো। খুবই খারাপ। কতটা খারাপ ব্যবসা বলে বোঝাতে পারব না। সিনেমা হলের বাইরে ভিড়, অথচ ভেতরে চেয়ার খালি!’
সিডি যখন চলছিল না, তখন তিনি কেবল ব্যবসা শুরু করেন। কেবল সংযোগের ব্যবসার সুবাদে গানের ভিডিও তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। ইউটিউবে হিরো আলমের এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তাঁর ভিডিও নিয়ে কৌতুক শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় তাঁর ভিডিও নিয়ে হয় ট্রল। এরপর তিনি শুরু করেন সিনেমা প্রযোজনা ও অভিনয়। গত নির্বাচনে নিজ এলাকা থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন আলম।‘সাহসী হিরো আলম’ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন সাকিরা মৌ, রাবিনা বৃষ্টি, নুসরাত জাহান, কালা আজিজ প্রমুখ। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন এ আর মুকুল। গল্প লিখেছেন পিজি মোস্তফা। চিত্রনাট্য করেছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
